‘শালা’-র সাথে পানশালায় শাশ্বত কর ‘ডাক পাঠালে আজ সকালে/ আর কি দূরে থাকতে পারি?’ তাছাড়া ডাকেরও তো রকমফের আছে। ‘যে বলে আয় লো, তার সনে যাই লো’ তো আর হওয়া যায় না! সেলফ রেসপেক্ট, সেলফ এস্টীম-এই স্টিমী, ভোলেটাইল জিনিসপত্র, কত সব আছে না! তবে? তবে এ ডাক তো আর যে সে ডাক নয়, খোদ বসের ডাক! টাক যেমন চকচকে লোকটার তেমনই জয়ঢাকের মত বপু! আর কী পালিশ রে ভাই! মালিশ খাওয়া তেলতেলে স্কিনে মাছি বসার জো নেই! বসলেই স্লুৎ করে পিছলে যাবে! কাঁচা মাখনের মত রঙ! বঙ্গসন্তানের এ হেন বপু আর মেজাজ খুব একটা সুলভ নয়। সুলভ কম্পলেক্সে জলাল্পনা দেওয়া আয়নার সামনে চুলে চিরুণি বুলোতে বুলোতে ঠিক এই কথাগুলোই ভাবছিলুম। ডাক এসেছিল বিহান বেলায়। পাশের ফ্ল্যাটের মিত্তিরদার বেয়ান তখন রেয়াজ করছেন। রেয়াজি খাসির মত তার স্বর। তারস্বরে একেবারে তাল ঠুকে চিল্লাচ্ছেন। তিতিবিরক্ত হয়ে চায়ে দাঁত ডোবালুম। ধুত্তোর! লিকার বেশি হয়ে গেছে- তিতো! ছ্যা ছ্যা ছ্যা ছ্যা, ছ্যাঃ! রামোঃ! খবরের কাগজটা খুললুম, প্রথম পাতা জুড়ে নিমের ফেসওয়াশ! এ হে হে! গোটা দিনটা তিতো আজ হবেই! মর্নিং শোজ দ্য ডে- কথায় বলে না! বলে কি আর সাধে? হাজার হাজার পরীক্ষালব
শাশ্বত করের লেখালেখির অ্যালবাম