Skip to main content

যেমন করে গাইছে আকাশ



কাছে এসে বসো।

কথা নয়, পাখিগুলো উড়ে যাবে।
জানালা খুলে দাও।
বৃষ্টির গুঁড়ো আসুক।
তোমায় ভিজতে হবে।
বেশি ভিজলে তোমার তো শ্বাসকষ্ট হয়।
সরে এসো। বৃষ্টির গুঁড়ো আসুক।

দুজনায় মিলে হেঁটে চলে যাই অজানা দূর
বুকের ভিতরে গাইছে একটা অচেনা সুর
তোমার কাছেই সব খুশিগুলো জীবনভর
সব ভুলে গেছি সব ভুলে গেছি আপনপর
সব চাওয়া পাওয়া ছুঁড়েই ফেলেছি
চোখ ভরে শুধু তোমাকে দেখেছি
তোমার কাছেই জীবন দিলাম গচ্ছিত
শালের পাতায় ভাত বেড়ে দাও
কলস থেকে জল ভরে দাও
জীবনখেলায় তোমায় ভুলে লজ্জিত 

কোথাও যাওয়ার নেই।
পাশটিতে এসে বোসো।

আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরছে
ঘাসের উপর
পাতার উপর
রোদের উপর বৃষ্টি নামুক
তোমায় ছুঁয়ে বৃষ্টি নামুক পুনর্বার

এই মুহূর্ত কোথায় ছিল
কীসের লোভে ভুলেছিলাম জীবনপুর
অবসরের মাঠ খোলা থাক
যুদ্ধবিমান আজ তোলা থাক
চোখের উপর ভাসতে থাকুক সমুদ্দুর

কিচ্ছু করার নেই
কোনো কাজ বাকি নেই আমাদের
এসো, পাশাপাশি বসে দেখি শুধু

ঝরছে যেমন ঝরতে থাকুক
পুড়ছে অধর পুড়তে থাকুক
বদর বদর! দাও, তুলে দাও নাওয়ের কাছি
অনেক পরে বৃষ্টি এলো
জ্যোৎস্না ফোটাও আমার আলো
একদিন নয় মানুষ হয়ে এমন বাঁচি

উবুর ঝাপুর বৃষ্টিতে আজ নেশায় আছি



- শাশ্বত কর 

Comments

Popular posts from this blog

গৃহপ্রবেশ- ভালোবাসার ঘর দুয়ার

 শাশ্বত কর  গরম কোন পর্যায়ে সে তো আর বলা না বলার ধার ধরে না। ঘামে ঘামে বাসে ট্রামে সবাই টের পাচ্ছে। একটা কাজে বেরিয়েছিলাম। হঠাৎ করে ঘণ্টা চারেকের অবসর পেয়ে গেলাম। অবসর বটে কিন্তু চাআআর ঘণ্টা এই তুমুল রোদে করি কী? সময় বদলেছে। এমন প্রখর দাবদাহে পথিক কি খুঁজতেন? খানিক গাছের ছায়া, তৃষ্ণার জল- এই তো!  আমার কাঁধের ব্যাগে জল, নাকের ডগায় মাস্ক, মাথায় কপালে রোদ্দুরের তেজে গলন্ত স্বেদ। মাথা চিড়বিড় করছে, পেতে ছুঁচো না হোক কেউ তো ডন দিচ্ছে। এই তুমুল আলোয় সত্যি সত্যি চোখে ঝিলমিল লেগে যাচেছ। সামনে অজস্র খাবারের দোকান, চায়ের দোকান। সেসব ছেড়ে পার্কের বেঞ্চিতে বসে খোলা মাঠ দেখে সময় কাটাব ভাবছিলাম। চোখে মুখে রোদেল হাওয়ার কঠিন চুম্বনএর ঠেলায় সইলো না! বেরিয়ে এলাম। দক্ষিণ কলকাতার ফুটপাথ। গাছের ছায়ার অভাব নেই, অভাব নেই রোদের দীর্ঘশ্বাসেরও! খানিক উদভ্রান্ত পায়চারির মধ্যেই মরূদ্যানের মত একটা সিনেমা হল। আর পায় কে? টিকেট উইন্ডোতে টিকিটের দাম দেখে খানিক আশ্বস্ত হলাম। এখনো ১১২ টাকায় সিনেমা দেখা যেতে পারে !এই দুপুর রোদে ১১২ টাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসার আরাম। এই ভয়ঙ্কর আশ্র...

'তুমি তার সেবা কর সুখে'

‘তুমি তার সেবা করো সুখে’ শাশ্বত কর

অসুস্থ সমাজ, অরাজনৈতিক আন্দোলন এবং নিছক সাধারণী আবেদন

  ডাক্তারদের অনশন আজ ১০ দিনে পড়ল । পাঁচই অক্টোবর থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন। প্রথমে ছ'জন পরে আরো একজন , উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে আরও দু'জন জুনিয়র ডাক্তার আমরণ অনশনে বসেছেন। বলছি বটে জুনিয়র, কিন্তু যে পর্যায়ের পরিণত মনোভাব এঁরা দেখিয়েছেন এবং দেখাচ্ছেন চিকিৎসা পরিভাষায় যাই হোক, মানবতার পরিভাষায় এরা সিনিয়রস্য সিনিয়র।  অনশন। কেবল জল। আর কিছু নয় । বলাই সহজ, কাজে মোটেই সহজ নয়। একবার রাগ করে না খেয়ে একবেলা ছিলাম। আর মনে পড়ে আর একবার মায়ের সাথে উপোস করেছিলাম কোজাগরি পূর্ণিমায়। দুবারই সন্ধ্যে হতে না হতেই হাটুতে হাঁটুতে ঠোকাঠুকি লেগেছিল। আর টানা 10 দিন অভুক্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা! এখনো চলছে তাঁদের অনশন ব্রত।  শারীরিক সমস্যা জয় করতে হচ্ছে। জনমানসের আশা প্রত্যাশার পাহাড় জয় করতে হচ্ছে। মানসিক চাপ জয় করতে হচ্ছে। রাষ্ট্রের চাপ। সহজ কথা তো নয়। তাও জয় করতে হচ্ছে। অকথা কুকথাকে খড়কুটোর মত ছুঁড়ে ফেলে পাখির চোখে চোখ রাখতে হচ্ছে। কেন করছেন তারা অনশন? রাজ্যে গত নয়-ই অগস্ট নারকীয় ঘটনা ঘটে গেছে আর জি কর মেডিকেল কলেজে। তাদেরই সহকর্মী দিদি অথবা বোনের নৃশংস পরিণতি তাঁদের মুঠো শক্ত কর...