Skip to main content

Posts

Featured Post

যুদ্ধ যুদ্ধ যুদ্ধ !

  স ত্যিই যুদ্ধ। যুদ্ধ বলে যুদ্ধ! চোখের সামনে যুদ্ধ, নায়কে খলনায়কে যুদ্ধ, দেশে দেশে যুদ্ধ, গানে Gun-এ যুদ্ধ, কানে কানে যুদ্ধ, মনে মনে যুদ্ধ। ধিম ধুম ধাসুম গুদুম গাদুম - বোম পড়ছে, গ্রেনেড পড়ছে , বাড়ি উড়ছে, গাড়ি উল্টচ্ছে, গাড়ি গুঁতোচ্ছে , হেলিকপ্টার উড়ছে, জেট উড়ছে, জেড নিরাপত্তা বুড়ো আঙুল দেখছে, আঙুল চুষতে চুষতে চোর ঠেঙান ঠেঙাচ্ছে হিরো - সব কুছ আরামসে! আরি বাপরি বাপরি বাপ! ওয়ান ম্যান আর্মি - আরি বাপরি বাপরি বাপ!  পুরো বিনোদনের ক্যাপসুল! ক্যাপসুলে কি নেই? তিন ঘন্টার মধ্যে জগত দর্শন! ওরে বাপরে মার কাকে বলে? অবশ্য শুধু মার বললে ভুল হবে। প্রেমের জোয়ার আছে, প্রেমের জোয়ারে দোহার ভেসে যাওয়া আছে। স্পাই ভার্স বলে কথা- কাজেই সুন্দরী নায়িকার স্বল্প বসনে হাঁটাচলার আবেদন আছে, মনে ঢেউ তোলা নাচন আছে। আর সর্বোপরি- গ্রিক গড হৃত্বিক রোশনের নাচ আছে! আর কি চাই? দীপিকা?  পুরো ছবিটাতেই তো হৃতিক রোশন আর হৃতিক রোশন! অবশ্য এন. টি. আর. তাঁর কামাল দেখিয়েছেন। হৃতিকের পাশে নাচার সময় চোখে পড়ে এমন মানুষ বলিউডে এখনও খুব কমই আছেন। এন. টি. আর তাদের একজন। ছবিতে হৃতিকের সাথে প্রায় সমান...
Recent posts

অহনা আলোর পথযাত্রী- এখানে থামবে না

   অহনা - The Light Within ওই শেষের কথাটিই ছবির সুর। মন ছোঁয়া সুর। লালন সাঁই এর গানে মায়াময় এক দৃশ্য মিশে যাচ্ছে। উত্তরণ। উত্তরণের অভিযাত্রা। মানুষের পরিচয় মানুষ। নারীবাদিতার ট্যাগ আঁটলে এ ছবির সাথে খানিক অনুচিত হবে বলেই এই সামান্য কলমচির অভিমত। কথা বলছিলাম প্রমিতা ভৌমিক লিখিত, পরিচালিত, প্রযোজিত ছবি 'অহনা' নিয়ে। অভিধান বলছে অহনা শব্দের অর্থ উষা, দিনের প্রারম্ভ, উজ্জ্বল। আর ছবি বলছে অহনার ভিতরের রাত কেটে ভোরের কাছে যাওয়ার গল্প। গল্প চেনা। আশপাশে তাকালে- আশপাশে কেন পরিবারে তাকালেই চোখে পড়বে এমন গল্প। গল্প বলা- স্পয়লার দেওয়া আমার কাজ না। কাজেই দিলাম না। কেবল এটুকু বলি অহনা সমাজের সংবেদনশীল এক মেয়ে। লেখক। লব্ধপ্রতিষ্ঠ লেখক। অধ্যাপক স্বামী, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক শ্বশুর আর কাজের মানুষ নিয়ে গোছানো সংসার তাঁর। অন্তত বাইরে থেকে তো তেমনই মনে করা যায়। খুব ভুলও নয়। না , এটা বলাই আমার ভুল হলো- সংসারের, পরিবারের ভিত যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা- অহনা আর তাঁর অধ্যাপক বরের মধ্যে সেইটিরই অভাব। বড় অভাব। অভাবের কারণ অবশ্য লুকিয়ে শরীর ছুঁয়ে মনে। সমাজ ছুঁয়ে মনে। দ্বন্দ্ব ছুঁয়ে সম্পর্ক...

গৃহপ্রবেশ- ভালোবাসার ঘর দুয়ার

 শাশ্বত কর  গরম কোন পর্যায়ে সে তো আর বলা না বলার ধার ধরে না। ঘামে ঘামে বাসে ট্রামে সবাই টের পাচ্ছে। একটা কাজে বেরিয়েছিলাম। হঠাৎ করে ঘণ্টা চারেকের অবসর পেয়ে গেলাম। অবসর বটে কিন্তু চাআআর ঘণ্টা এই তুমুল রোদে করি কী? সময় বদলেছে। এমন প্রখর দাবদাহে পথিক কি খুঁজতেন? খানিক গাছের ছায়া, তৃষ্ণার জল- এই তো!  আমার কাঁধের ব্যাগে জল, নাকের ডগায় মাস্ক, মাথায় কপালে রোদ্দুরের তেজে গলন্ত স্বেদ। মাথা চিড়বিড় করছে, পেতে ছুঁচো না হোক কেউ তো ডন দিচ্ছে। এই তুমুল আলোয় সত্যি সত্যি চোখে ঝিলমিল লেগে যাচেছ। সামনে অজস্র খাবারের দোকান, চায়ের দোকান। সেসব ছেড়ে পার্কের বেঞ্চিতে বসে খোলা মাঠ দেখে সময় কাটাব ভাবছিলাম। চোখে মুখে রোদেল হাওয়ার কঠিন চুম্বনএর ঠেলায় সইলো না! বেরিয়ে এলাম। দক্ষিণ কলকাতার ফুটপাথ। গাছের ছায়ার অভাব নেই, অভাব নেই রোদের দীর্ঘশ্বাসেরও! খানিক উদভ্রান্ত পায়চারির মধ্যেই মরূদ্যানের মত একটা সিনেমা হল। আর পায় কে? টিকেট উইন্ডোতে টিকিটের দাম দেখে খানিক আশ্বস্ত হলাম। এখনো ১১২ টাকায় সিনেমা দেখা যেতে পারে !এই দুপুর রোদে ১১২ টাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসার আরাম। এই ভয়ঙ্কর আশ্র...

নিম্নচাপ

  উ ত্তর পূর্ব থেকে হাওয়া দিচ্ছে। নিম্নচাপের বৃষ্টি ঢুকে পড়ছে জানলা দিয়ে ঘরে। রাস্তা প্রায় ফাঁকা। দু' একজন ফেরিওয়ালা কচিৎ হেঁকে যাচ্ছেন। বর্ষাতি পরে ছেলেমেয়েরা টিউশন নিতে গেল। রাস্তার জমা জল ছেটাচ্ছে মজায়।  এমন দিন ছেলেবেলারই।  ফুটবলের।  পুকুর ঝাঁপানোর। জলখেলার। ঠান্ডা জল সর্বাঙ্গে। ডুব দিলে বৃষ্টির নিক্কণ।  আঃ! আমাদের তখন ছোট বাড়ি। বৃষ্টি এলেই ছাদে ঝমঝম শব্দ ফোটে। কার যেন বাগান কেটে ছোট ছোট প্লট। জমির সীমানা নির্ধারক পিলার মাটি থেকে একটু করে মাথা তুলে যেন চারপাশ থেকে মালিকের জমি আলাদা করে রাখে।  বেশিরভাগ জমিই তখন ফাঁকা। এমন নিম্নচাপের দিনে পুকুর ভেসে যায়। কই মাছ উঠোনে হাঁটে। হাম্বার সাইকেলে চেপে বাবা অফিস চলে গেলেই দুনিয়া আমার। বাড়ির পাশে জমা জল। জলের নিচে ঘাস। পাঁচিল থেকে ভূমধ্যসাগরে লাফিয়েছি। হাতে বাতার তলোয়ার।  ওপাশ থেকে পার্থ লাফিয়েছে। দেবাশীষ এসেছে। হাতে লোহার পাইপ বাঁকানো বন্দুক। তিনদিক থেকে জলদস্যুদের আক্রমণ। ভুমধ্যসাগর আগাপাশতলা আন্দোলিত। ফেনার ঢেউ উঠছে। আক্ষরিক অর্থে কচু কাটা হচ্ছে নবীন কচুবন। ফড়িং এর দল হেলিকপ্টার চড়ে পালাচ্ছ...

ব্যস্ততার বিলাসিতা

  বৃষ্টি এলো। তখন সকাল সাড়ে দশটা হবে । জানলার পাল্লা গুলো বন্ধ করলাম । জানলার পাশে বসেছি। গা ভর্তি আলসেমি। হঠাৎ জানালার বাইরে বকবকম। ঘষা কাচে তাকিয়ে দেখি কার্নিশে দুটো পায়রা এসে বসেছে । জবজবে ভিজে। ডানা থেকে জল ঝরছে। একজন বসে আছে চুপ করে। অন্যজন ওই অতটুকু জায়গায় ব্যস্ত হয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে। কত কথা তার। খানিক বাদে চলে গেল দুজনেই। জানলা খুলে দিলাম। বাইরের কদম গাছটা রোজই দাঁড়িয়ে থাকে। চোখ পড়ে না। আজ তাকিয়ে দেখি নরম বলের মত কদম ফুটেছে। কাঠবেড়ালি কদমের ডালে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে। ভিজে হাওয়া রীতিমতো থাপ্পড় কষিয়ে বলে গেল পাশাপাশি থাকো অথচ চোখ মেল না? বেড়াতে যাওয়া হলো না বলে মুষড়ে থাকো, অথচ একবারও বাইরে দেখ না। আরে এই শহরেও সব আছে। ব্যস্ততার বিলাসিতা ছেড়ে আবার তাকাতে শেখো। ছাদে অপরাজিতায় সাদা ফুল এসেছে, তুলসীর মঞ্জরিতে, সিমের কচি ফুলে প্রজাপতি এসে বসছে। প্রজাপতির মন খারাপ নেই। গ্রামের ফুলে বসবো, এখানে বসবো না এ সব ছেঁদো কথা বলে বলে মাথা কুটছে না । দেখো করবীতে আরেকটা রং এসেছে। ভাঙা বালতিতে শিকড় ছড়িয়েছে বলে অভিমানে ফুল ফোটাব না বলেনি। পাশের ঘরে বাবু পড়ছে । আমার আজ কাজ নেই।...

অসুস্থ সমাজ, অরাজনৈতিক আন্দোলন এবং নিছক সাধারণী আবেদন

  ডাক্তারদের অনশন আজ ১০ দিনে পড়ল । পাঁচই অক্টোবর থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন। প্রথমে ছ'জন পরে আরো একজন , উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে আরও দু'জন জুনিয়র ডাক্তার আমরণ অনশনে বসেছেন। বলছি বটে জুনিয়র, কিন্তু যে পর্যায়ের পরিণত মনোভাব এঁরা দেখিয়েছেন এবং দেখাচ্ছেন চিকিৎসা পরিভাষায় যাই হোক, মানবতার পরিভাষায় এরা সিনিয়রস্য সিনিয়র।  অনশন। কেবল জল। আর কিছু নয় । বলাই সহজ, কাজে মোটেই সহজ নয়। একবার রাগ করে না খেয়ে একবেলা ছিলাম। আর মনে পড়ে আর একবার মায়ের সাথে উপোস করেছিলাম কোজাগরি পূর্ণিমায়। দুবারই সন্ধ্যে হতে না হতেই হাটুতে হাঁটুতে ঠোকাঠুকি লেগেছিল। আর টানা 10 দিন অভুক্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা! এখনো চলছে তাঁদের অনশন ব্রত।  শারীরিক সমস্যা জয় করতে হচ্ছে। জনমানসের আশা প্রত্যাশার পাহাড় জয় করতে হচ্ছে। মানসিক চাপ জয় করতে হচ্ছে। রাষ্ট্রের চাপ। সহজ কথা তো নয়। তাও জয় করতে হচ্ছে। অকথা কুকথাকে খড়কুটোর মত ছুঁড়ে ফেলে পাখির চোখে চোখ রাখতে হচ্ছে। কেন করছেন তারা অনশন? রাজ্যে গত নয়-ই অগস্ট নারকীয় ঘটনা ঘটে গেছে আর জি কর মেডিকেল কলেজে। তাদেরই সহকর্মী দিদি অথবা বোনের নৃশংস পরিণতি তাঁদের মুঠো শক্ত কর...

নতজানু হয়ে শিখে চলি

  “এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ দিকে দিকে ওঠে ওঠে অবাধ্যতার ঢেউ” ঢেউই বটে। স্বতঃস্ফূর্ত যে ঢেউ আছড়ে পড়ছে ক্রমাগত- কার সাধ্য তার পথ আটকায়! ঘৃণ্য, মনুষ্যেতর ঘটনা ঘটেছে এই শহর কলকাতার বুকে- ঐতিহ্যশালী সরকারি হাসপাতাল আর.জি.করে-এ। এক টানা ছত্রিশ ঘন্টা সেবা প্রদানের পর কর্মক্ষেত্রেই ধর্ষিতা হয়ে খুন হতে হয়েছে চিকিৎসক তিলোত্তমাকে। এই জোরালো আঘাত নাড়িয়ে দিয়েছে মানুষের মন। দীর্ঘদিন এই মন আবদ্ধ ছিল। আবদ্ধ ছিল নানান বাঁধনে। হতে পারে তা আপাত কর্মব্যস্ততা, হতে পারে বিভ্রান্তি, হতে পারে জীবিকা অর্জন, হতে পারে ভীতি, হতে পারে লোভ, হতে পারে উদাসীনতা, হতে পারে পলায়নপ্রিয়তা, হতে পারে আরও অনেক কিছু। মোদ্দা কথা, সমাজের মন বদ্ধ ছিল। এই ভয়ানক ঘটনা সেই বাঁধন খুলে দিল। কোনো মেয়ে সুরক্ষিত নয়। কেউ সুরক্ষিত নন। আইন, নিয়ম সব আছে। কিন্তু নীতিহীনতা, মনুষ্যত্বহীনতা, ক্ষমতার দাপট সেই সবকিছুকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে। অস্তিত্বের টান বড় টান। মরমে আঘাত বড় আঘাত। সেই আঘাত নেমে আসল তিলোত্তমা হয়ে পশ্চিমবাংলার সমস্ত মানুষের মনে, প্রধানত নারী মানসে। বহুদিন পর স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন দেখল সমাজ। স্বীকার করতেই হবে- নারী পরিচালিত আন্দ...