Skip to main content

Posts

Showing posts from 2018

'স্ত্রী'- হরর কমেডি না কি সমাজ দর্শন?

মর্দকো দর্দ হোগা ^ হোনা চাহিয়ে শা শ্ব ত ক র ছ বিটা দেখতে দেখতে বারবার ক্যাচ লাইনটা বদলে দিতে ইচ্ছে করছিল। পরিচালকের ডেবিউ ফিল্ম ‘আবা’ আমার দেখা হয় নি। এবার দেখব। সঠিক ভাবে বললে অমর কৌশিকের গল্প বলার ধরণ আর পরিচালনার নিপুণতা দেখতে বাধ্য করবে। বিষয়টা বলা যায় পুরোনোই, বলবার আঙ্গিকটি আকর্ষণীয়, ঈর্ষনীয়ও বটে। আমার মত আম জনগণেশ বরাবরই ভূতপ্রেমী। আর দেশি ভূতিয়া ছবি মানেই ভাবুন কী ছিল! ছিল হিঁ হিঁ হিঁ হিঁ মার্কা পেত্নি হাসি অথবা হুহুহাহা মার্কা অট্টহাসি, ঝ্যাং ঝ্যাং ঝ্যাং ঝ্যাং মার্কা আবহ, মুখোসধারীর ভূত নেত্য, আর স্বল্পবাসী নায়িকার ঝিঙ্কুমিঙ্কু গান অথবা ঝিরঝির ঝর ঝর স্নান! দিন বদলালে রুচি বদলায়। ঝিঙ্কু গানের জন্য আর ভূতিয়া ছবির দরকার হয় না। তবুও নতুন ভয়ের ছবিগুলোয় ইদানিং ভি এফ ক্স, টি এফ ক্স এফেক্ট টেফেক্ট ঝুলিয়ে গা ছমছমে এবং উত্তেজনার পাঁচফোড়নে যা হোক একটা কিছু দাঁড়াত! তাই আমরা দেখতুম। কিন্তু এই ভদ্রলোক আমাদের কী দেখালেন! ভয়ের মোড়কে একটা আদ্যন্ত সামাজিক বার্তা। এভাবেও তা হলে বলা যায়! নারীদের উপর অত্যাচার এখন তো আর চমকে দেওয়ার মত খবর নয়। নিত্যদিন খবরের কাগজ খুললে

ছোট ছোট মানুষের ছোট ছোট আশা, কে রাখে খবর তার

শাশ্বত কর বিতানের চিহ্ন পড়ছিলাম। মনের মাঝে একটাই ভালোবাসার সুর গুনগুন করে গেল। মৃণাল সেনের সেই অবিস্মরণীয় ছবি। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সেই মায়াময় গান। “নীল আকাশের নিচে এই পৃথিবী আর পৃথিবীর পরে ওই নীলাকাশ- তুমি দেখেছ কি?” দেখে তো সবাই। সবাই কি আর সেই সাধারণ দেখাকে বলতে পারে? সাধারণ দেখায় অসাধারণত্ব খুঁজে পাওয়ার চোখ তো বড় বেশি নয়। সেক্ষেত্রে যশোলাভ তো অনেকটাই শ্রমসাধ্য, এমন কি দুঃসাধ্যও হতে পারে। তার চেয়ে চেনা খাতে গপ্প না বইয়ে মন যে দিকে ভাসতে চায় সেই কল্পখাতে ডিঙা ভাসানোই তো নিশ্চিন্তির পথ! বিতান অবশ্য সেই পথটায় হাঁটেননি। বরং ‘রাতের সে নীরবতা’ অথবা ‘মানুষের অশ্রু শিশিরে শিশিরে ঝরে’ কেমন করে তা দেখে গেছেন। চেষ্টা করেছেন নিরপেক্ষ ভাবে সেই দৃশ্যরাজির দলিল পেশ করবার। সাতটা গল্পের মালা। একই ফুলের মালা। কেবল ভিন্ন ভিন্ন গাছে ফোটা নাম না জানা ফুল। নিয়ম মেনে ফোটে। নিয়ম মেনে বংশ বাড়ায়। নিয়ম মেনে ঝরে যায়। হাসি কান্না রাগ দুঃখ- মানুষের স্বাভাবিক গুণে গুণান্বিত মানুষের গল্পমালা। বড়াই নেই, বাড়তি নেই, যা ঘটার তাই ঘটছে। খুব স্বাভাবিক ভাবে ঘটছে। এমন ঘটনা যাতে পৃথিবীর ঘূর্ণণের কিছু

তিনটে চারটে সাতটা আটটা হামি

তিনটে চারটে সাতটা আটটা হামি শাশ্বত কর “লেখার কথা মাথায় যদি জোটে তখন আমি লিখতে পারি হয়তো কঠিন লেখা নয়কো কঠিন মোটে যা তা লেখা মোটেই সহজ নয়তো” স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের কথা! যাঁরা শিল্প সাহিত্য চর্চা করে থাকেন, তাঁরা হাড়ে হাড়ে জানেন এর সত্যতা। সহজ কথা সহজ করে দেখাতে পারাটা একটা দক্ষতা। শ্রম লব্ধ, চর্চা অর্জিত দক্ষতা। যদি ভাঁজ দিলে না তানে, তবে আর শিল্পী সত্তা কোথায় প্রকাশ পেল? যা হচ্ছে তা সরাসরি টকাস টকাস বলে দেব, তাতে আর আমার ক্যালমাটা কোথায়? আর এই ক্যালমা যে গুরু কী বিষম বস্তু, সে তো আধুনিক কবি থেকে মোটর সাইকেলের উঠতি স্টান্টম্যান- সকলেই জানেন! যাই হোক, নিজেও না ভাঁজ না ভেজে সোজা টপিকে আসি। কথা হচ্ছে, ‘হামি’ দেখে এলুম। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াঃ বস! নিজেকে দেখে এলুম। দেখার বেশ খানিক্ষণ পরে ভাবন এবং জাবর কাটন লব্ধ প্রতিক্রিয়াঃ নিজেদের দেখে এলুম। সহজ কথাকেই যে কেবল সহজ করে বলতে পেরেছেন এই ডিরেক্টর ড্যুও তা কিন্তু নয়, কঠিন কথা গুলোকেও বেশ সহজে বলে দিয়েছেন। বিন্দুমাত্র আঁতলামোর আশ্রয় ছাড়া। প্রসঙ্গত মনে পড়ছে, বছর দেড়েক আগে ‘একদিন’ কাগজের জন্যে একটা লেখা লিখেছিলাম

জগুমামা, টুকলু আর চলমান সমাজ

এ ই গল্পটা শুনেছিলাম বাবার কাছে। প্রচলিত গল্পই। তবু কথামুখ হিসেবে অবশ্যই খাটে। কাজেই উল্লেখ করে ফেলিঃ      দুই ভাই। বড় জন শান্ত শিষ্ট। ছোট জন স্বাভাবিক সাম্য রক্ষার্থে যাকে বলে পেল্লায় ন্যাজ বিশিষ্ট। প্রথম জন গুছিয়ে কাজ কম্ম করেন, দ্বিতীয় জন গুছোনো জিনিস এলোমেলো করেন। তবে ভায়ে ভায়ে বেজায় ভাব। তাদের পড়ানোর জন্য এলেন এক গৃহ শিক্ষক। তাঁর চেষ্টার তো কোণো ত্রুটি নেই। তবু শিক্ষা ঠিক আশাপ্রদ হয় না। বড় জন তেমন বুঝতে পারে না। আর ছোটজন তো পড়েই না। তখন শিক্ষক মশাইয়ের মনে হলো- নাঃ! এ ভাবে ভবি ভুলবে না। বরং কায়দা করে শেখাতে হবে। প্রকৃতির মাঝে টেনে নিয়ে কাজের আনন্দে শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। যেমনি ভাবা তেমনি কাজ। দুই ভাইকে নিয়ে শিক্ষক এলেন উঠোনে। উঠোনে ভরন্ত কুল গাছ। শিক্ষক গাছ ঝাঁকালেন। টোপা কুল টপটপিয়ে পড়ল। শিক্ষক বললেন, গুণে গুণে কুল তোলা যাক। বড় ভাই গোণে। ছোটো ভাইও গোণেঃ এক, দুই, তিন...ওই দাদা! মাস্টামশাই আঁক করাচ্ছে রে! কুল খেয়ে আর কাজ নাই! পালা পালা! চেনা গপ্প। জানা কথা। কিন্তু একটা শিক্ষা আছে। সেটি হলো, ছোটদের কিছু শেখানোর কাজটা মোটেই ছোটখাটো নয়। বরং মারাত্মক কঠিন। যদি বিশ্ব

এই আসা-যাওয়ার খেয়ার কূলে আমার বাড়ি

    “Poetic Idealization is not a frivolous embellishment, but a profound penetration in virtue of which we pass from troublous emotion to the serenity of contemplation.”                                                                                                                      - Benedetto Croce মধুমঙ্গল বিশ্বাসের ‘ আরণ্যক খাঁড়ি ’ পড়বার পর সবার আগে ইতালীয় দার্শনিক ক্রোচের এই কথাটাই মনে এল । কাজেই সেই দিয়েই শুরু করলাম ।   যদিও কবিতায় জ্ঞানগম্মি আমার কালবোশেখিতে ওড়া ধুলোর মত , তবুও পাঠক তো ! সেই জনতা জনার্দনের একজন হয়ে ভালো লাগা অথবা মন্দ লাগার অভিব্যক্তি তো প্রকাশ করাই যেতে পারে । কবি অত্যন্ত সুপরিচিত । পাঠক আদৃত । বলা যায় কবিকুল আদৃতও । অবশ্য যেহেতু আলোচ্য কবি একটি সুপত্রিকার সম্পাদনায় সুদীর্ঘকাল নিযুক্ত , কাজেই কবিকুল বেষ্টনি থেকে অবশ্য তাঁর প্রতি কাব্য লক্ষ্মীর কৃপা খুঁজতে চাওয়া কেবল অনৈতিক নয় , অবৈজ্ঞানিকও বটে । কী আক্কেল বলুন তো , কবিতার বইয়ের পাঠপ্রতিক্রিয়ায় এ আবার কেমনতরো