“এত বিদ্রোহ কখনও দেখেনি কেউ দিকে দিকে ওঠে ওঠে অবাধ্যতার ঢেউ” ঢেউই বটে। স্বতঃস্ফূর্ত যে ঢেউ আছড়ে পড়ছে ক্রমাগত- কার সাধ্য তার পথ আটকায়! ঘৃণ্য, মনুষ্যেতর ঘটনা ঘটেছে এই শহর কলকাতার বুকে- ঐতিহ্যশালী সরকারি হাসপাতাল আর.জি.করে-এ। এক টানা ছত্রিশ ঘন্টা সেবা প্রদানের পর কর্মক্ষেত্রেই ধর্ষিতা হয়ে খুন হতে হয়েছে চিকিৎসক তিলোত্তমাকে। এই জোরালো আঘাত নাড়িয়ে দিয়েছে মানুষের মন। দীর্ঘদিন এই মন আবদ্ধ ছিল। আবদ্ধ ছিল নানান বাঁধনে। হতে পারে তা আপাত কর্মব্যস্ততা, হতে পারে বিভ্রান্তি, হতে পারে জীবিকা অর্জন, হতে পারে ভীতি, হতে পারে লোভ, হতে পারে উদাসীনতা, হতে পারে পলায়নপ্রিয়তা, হতে পারে আরও অনেক কিছু। মোদ্দা কথা, সমাজের মন বদ্ধ ছিল। এই ভয়ানক ঘটনা সেই বাঁধন খুলে দিল। কোনো মেয়ে সুরক্ষিত নয়। কেউ সুরক্ষিত নন। আইন, নিয়ম সব আছে। কিন্তু নীতিহীনতা, মনুষ্যত্বহীনতা, ক্ষমতার দাপট সেই সবকিছুকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে। অস্তিত্বের টান বড় টান। মরমে আঘাত বড় আঘাত। সেই আঘাত নেমে আসল তিলোত্তমা হয়ে পশ্চিমবাংলার সমস্ত মানুষের মনে, প্রধানত নারী মানসে। বহুদিন পর স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন দেখল সমাজ। স্বীকার করতেই হবে- নারী পরিচালিত আন্দোলন