Skip to main content

শাশ্বত করের প্রথম উপন্যাস 'ঝমঝম- কিছু কথা


শাশ্বত করের প্রথম উপন্যাস 'ঝমঝম- কিছু কথা








সুব্রত বসু


কজন লেখকের সবচেয়ে বড়ো প্রাপ্তি হলো, সৎ পাঠকের প্রতিক্রিয়া। চেষ্টা করছি সঠিক মূল্যায়নের। একজন মানুষ কখনই একা নয়। প্রথমত তাঁর সমস্ত ঊর্ধতণ পুর্বপুরুষ তাঁর আত্মার আত্মীয়, তেনারা তাকে অন্ধকারে পথ দেখান, বুকে বল যোগান| দ্বিতীয়ত, আত্মার শেষলক্ষ্য হলো পরমাত্মায় মিলিত হওয়া। একথা আমার গুরু বলেছেন, তাঁর বিভিন্ন বইতে, একাধিকবার| আমার গুরুর লেখনিতে বারবার উঠে আসে নির্লোভ, মেরুদন্ডওলা মানুষদের গল্প, খালি হাতে নতুন জীবন গড়তে আসা মানুষদের গল্প| এই গল্প গুলো আমাদের প্রেরণা দেয়, বাঁচতে শেখায়। তিনি বারংবার বলেছেনঃ সমস্ত যন্ত্রশক্তির চেয়ে মানবশক্তি অনেক বেশী বলশালী। আমার গুরুর আর এক বিশেষত্ব হলো, ভাষার বাঘকে রিংমাস্টার হয়ে বাঁদরনাচ নাচানো| এই তিনটি গুণই শাশ্বত বরদান পেয়েছে|


এবার প্রশ্ন হলো, যুগসাধক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের যোগ্য উত্তরাধীকারি কি আমরা পেলাম? আমার উত্তর হলো, হ্যাঁ| আমরা যোগ্য উত্তরাধীকারি পেয়েছি| এবার সময়ের কঠিন এবং দীর্ঘ রাসায়নিক প্র্ক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরী হবে সেই দুর্মূল্য হীরে যার অপেক্ষায় আছে গোটা বাংলা|



উপন্যাসঃ ঝমঝম
প্রকাশক ঃ পত্রভারতী
মূল্যঃ ১৫০ টাকা
প্রাপ্তিস্থানঃ পত্রভারতী আউটলেট ৩/১, কলেজ রো, কোলকাতাঃ ৭০০ ০০৯, 
flipkart link: https://www.flipkart.com/jhom-jhom/p/itmerb6j32zyemvp

Comments

  1. এমন একটা দিন যখন কষ্ট মনে বাসা বেঁধে আছে। তবুও আপনি পাঠক। ঈশ্বর। পাঠকের প্রতিক্রিয়া একমাত্র পাওয়ার।

    যাঁর কথা আপনি উল্লেখ করলেন, তিনি আমার প্রাতঃস্মরণীয়। প্রণম্য। তাঁর ছায়ার বহু যোজন দূরেও আমার অবস্থান নিয়ে সংশয়ী। তবু যদি লেখা তাঁকে মনে করিয়ে দেয়, সে পরম প্রাপ্তি।
    সময় যদি দায় দিয়ে কাজ করিয়ে নেন তবে হয়তো আরো হবে! সময়ের কাছে যেমন কৃতজ্ঞ, তেমনি আপনার মত পাঠকের কাছেও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি।

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

বর্ষ শেষ, থার্মোডিনামিক্সের প্রথম সূত্র আর সাধারণ জীবন

  শাশ্বত কর       বর্ষশেষের সূর্য অস্ত যাচ্ছে। শীত তো পড়েছে। লাল সোয়েটার, মোজা, মাঙ্কিক্যাপে জুবুথুবু বৃদ্ধ সূর্য অস্ত যাচ্ছেন। যাচ্ছেন কি? যাচ্ছেন কোথায়? লাখ টাকার প্রশ্ন! বিজ্ঞানের এক উত্তর, শিশু ভোলানাথের এক উত্তর, গোঁয়ার গোবিন্দর এক উত্তর, বোদ্ধার এক উত্তর! ঘন রহস্য! অথবা কোনোই রহস্য নেই। কৃষ্ণ কেমন, না যার মন যেমন। জলে হাওয়ায় গেলাস ভরা ভাবলে ভরা, আধখানা খালি ভাবলে খালি। আসল কথাটা হলো আজ বছরের শেষ সন্ধ্যে। আজ হেব্বি সেলিব্রেশন! কোথাও জামাল কুদু, কোথাও লুটপুট গয়া তো   কোথাও দিন হ্যায় সানি সানি সানি-   চারপাশ থেকে নানা রকমের গান ভেসে আসছে। একের সুরে আরেক চেপে বসায় কোনোটাই দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না মনে। এমনটাও ভালো। এতেও এক ধরণের নির্লিপ্তি আসে। নির্লিপ্তিই তো মুখ্য, নির্লিপ্তিই মোক্ষ। আজ ভর দুপুরে ছাদে গিয়ে অবহেলায় বেড়ে ওঠা গাছপালাগুলোর একটু পরিচর্যা করলাম। খালি দুটো টবে দুটো বীজ পুঁতলাম। একটা উচ্ছের  আর একটা ঢেঁড়সের । এই দুটোই আসলে আজকের বর্ষ শেষের আমি। কাজের দুনিয়ায় যেমন তেঁতো, ঘরের দুনিয়ায় তেমনি ঢেঁড়স। তো দুই আমিকে বছর শেষে দিল...

অসুস্থ সমাজ, অরাজনৈতিক আন্দোলন এবং নিছক সাধারণী আবেদন

  ডাক্তারদের অনশন আজ ১০ দিনে পড়ল । পাঁচই অক্টোবর থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন। প্রথমে ছ'জন পরে আরো একজন , উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে আরও দু'জন জুনিয়র ডাক্তার আমরণ অনশনে বসেছেন। বলছি বটে জুনিয়র, কিন্তু যে পর্যায়ের পরিণত মনোভাব এঁরা দেখিয়েছেন এবং দেখাচ্ছেন চিকিৎসা পরিভাষায় যাই হোক, মানবতার পরিভাষায় এরা সিনিয়রস্য সিনিয়র।  অনশন। কেবল জল। আর কিছু নয় । বলাই সহজ, কাজে মোটেই সহজ নয়। একবার রাগ করে না খেয়ে একবেলা ছিলাম। আর মনে পড়ে আর একবার মায়ের সাথে উপোস করেছিলাম কোজাগরি পূর্ণিমায়। দুবারই সন্ধ্যে হতে না হতেই হাটুতে হাঁটুতে ঠোকাঠুকি লেগেছিল। আর টানা 10 দিন অভুক্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা! এখনো চলছে তাঁদের অনশন ব্রত।  শারীরিক সমস্যা জয় করতে হচ্ছে। জনমানসের আশা প্রত্যাশার পাহাড় জয় করতে হচ্ছে। মানসিক চাপ জয় করতে হচ্ছে। রাষ্ট্রের চাপ। সহজ কথা তো নয়। তাও জয় করতে হচ্ছে। অকথা কুকথাকে খড়কুটোর মত ছুঁড়ে ফেলে পাখির চোখে চোখ রাখতে হচ্ছে। কেন করছেন তারা অনশন? রাজ্যে গত নয়-ই অগস্ট নারকীয় ঘটনা ঘটে গেছে আর জি কর মেডিকেল কলেজে। তাদেরই সহকর্মী দিদি অথবা বোনের নৃশংস পরিণতি তাঁদের মুঠো শক্ত কর...

এসো মা, এসো মা উমা

 শাশ্বত কর সুপ্তপর্ব “যেয়ো না, রজনি, আজি লয়ে তারাদলে! গেলে তুমি, দয়াময়ি, এ পরাণ যাবে!” ঠাকুর দালানে ধুনুচি সাজানো হচ্ছে। এও এক শিল্প! নারকেলের ছোবড়া উল্টো করে এমন করে সাজা হবে যে ধুনুচি নিম্নমুখী হলেও সহজে পড়বে না! নইলে আরতি জমবে কেমন করে!  ছোবড়া চুঁইয়ে ধোঁয়া মিশছে বাতাসে। বাতাসে ধুনোর গন্ধ! বাতাসে কর্পুরের গন্ধ! বাতাসে শিউলি, ছাতিম, বাতাবি ফুলের গন্ধ! বাতাসে ঠান্ডা আদর! আদর আমার গালে। মায়া আদর, আচ্ছন্ন আদর। যে সুগন্ধী বাতাস নাকি গোলাপের মৃদু পাঁপড়ি এই আদর এঁকে গেল, এই তো খানিক আগে যখন তেতলার চক বারান্দা থেকে ঝুঁকে নিচে ঠাকুরদালানের পাশে রাঙাপিসিমাদের আড্ডা দেখছিলাম, তার নাম এখানে লেখার কীই বা দরকার? গতকাল সকালে পুষ্পাঞ্জলির ফুল বেলপাতা সেই আমায় দিয়েছে, ভিড়ের অছিলায় আঙুল ছুঁয়ে গেছে। কাছে আসলেই মায়ের পুজোর গন্ধ ছাপিয়ে যে গন্ধটা আমায় কাঁপিয়ে দিয়ে যাচ্ছে, সেটা ঠিক পুব বাগানের বাঁধানো বেদির পাশে রাত আলো করে থাকা নিশিপদ্মের মতো! এ গন্ধের কাছে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকা যায় ঘন্টার পর ঘন্টা! এখন যেমন হাবার মতো দাঁড়িয়ে আছি চক বারান্দায়। হাতে শ্রীশঙ্খ! ঠাকুর তোরঙ্গ থেকে বড় শাঁখখানা আনতে পাঠি...