Skip to main content

নাও টেনে নাও "ঝমঝম" একখানি


নাও টেনে নাও "ঝমঝম" একখানি











শমীক মুখার্জী



গাংবেহালির নাম শুনেছ?
খুব দূরে নয় কাছেই
গগনবাবুর সেলুন সেথায়
দিব্যি চালু আছে।

ছোট্ট সে গাঁ আকৃতিতে
রহস্যে সে মোড়া
রূপকথারই মতন জানো
নয় কথা মনগড়া।
ঘটছে সেথায় কান্ড কেমন
হচ্ছে কি কানাকানি?
জানতে হলে নাও টেনে নাও
"ঝমঝম" একখানি।
ঝমঝম শাশ্বত কর এর প্রথম উপন্যাস।প্রকাশনা 'পত্রভারতী'।মানুষটাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি বলে লেখাটা পড়ে ফেলার সখ ভিতরেই ছিলো।আর পড়ার পর স্যারের প্রতি ভালোবাসাটা আরো কয়েকগুন হয়ে গেল।
প্রকৃতি,বিজ্ঞান,কল্পনা,ঐতিহ্য এবং বিশ্বাস এসমস্তের যে অদ্ভুত মিশেল ঘটেছে এই লেখায় তা মুগ্ধ করে দেয়।অমন গভীর,অমন অন্তরের কথা না ভালো লেগে যায়?
গল্পের চলনের সাথে সাথে প্রকৃতি এবং সময়ের চলনের সম্বন্ধে লেখকের অনুভুতি এবং জ্ঞানের পর্দা যেভাবে সরতে সরতে যায়,তা পাঠক-পাঠিকার মন ছুঁতে বাধ্য।
বড় ভালোলাগার আর কাছের হয়ে রইল 'ঝমঝম' আর তার চরিত্রেরা।
অপেক্ষা নয়,পড়ে নাও/নে/নিন।
ফ্লিপকার্টেও পাওয়া যাচ্ছে।


উপন্যাসঃ ঝমঝম
প্রকাশক ঃ পত্রভারতী
মূল্যঃ ১৫০ টাকা
প্রাপ্তিস্থানঃ পত্রভারতী আউটলেট ৩/১, কলেজ রো, কোলকাতাঃ ৭০০ ০০৯, 

Comments

Popular posts from this blog

গৃহপ্রবেশ- ভালোবাসার ঘর দুয়ার

 শাশ্বত কর  গরম কোন পর্যায়ে সে তো আর বলা না বলার ধার ধরে না। ঘামে ঘামে বাসে ট্রামে সবাই টের পাচ্ছে। একটা কাজে বেরিয়েছিলাম। হঠাৎ করে ঘণ্টা চারেকের অবসর পেয়ে গেলাম। অবসর বটে কিন্তু চাআআর ঘণ্টা এই তুমুল রোদে করি কী? সময় বদলেছে। এমন প্রখর দাবদাহে পথিক কি খুঁজতেন? খানিক গাছের ছায়া, তৃষ্ণার জল- এই তো!  আমার কাঁধের ব্যাগে জল, নাকের ডগায় মাস্ক, মাথায় কপালে রোদ্দুরের তেজে গলন্ত স্বেদ। মাথা চিড়বিড় করছে, পেতে ছুঁচো না হোক কেউ তো ডন দিচ্ছে। এই তুমুল আলোয় সত্যি সত্যি চোখে ঝিলমিল লেগে যাচেছ। সামনে অজস্র খাবারের দোকান, চায়ের দোকান। সেসব ছেড়ে পার্কের বেঞ্চিতে বসে খোলা মাঠ দেখে সময় কাটাব ভাবছিলাম। চোখে মুখে রোদেল হাওয়ার কঠিন চুম্বনএর ঠেলায় সইলো না! বেরিয়ে এলাম। দক্ষিণ কলকাতার ফুটপাথ। গাছের ছায়ার অভাব নেই, অভাব নেই রোদের দীর্ঘশ্বাসেরও! খানিক উদভ্রান্ত পায়চারির মধ্যেই মরূদ্যানের মত একটা সিনেমা হল। আর পায় কে? টিকেট উইন্ডোতে টিকিটের দাম দেখে খানিক আশ্বস্ত হলাম। এখনো ১১২ টাকায় সিনেমা দেখা যেতে পারে !এই দুপুর রোদে ১১২ টাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসার আরাম। এই ভয়ঙ্কর আশ্র...

'তুমি তার সেবা কর সুখে'

‘তুমি তার সেবা করো সুখে’ শাশ্বত কর

অসুস্থ সমাজ, অরাজনৈতিক আন্দোলন এবং নিছক সাধারণী আবেদন

  ডাক্তারদের অনশন আজ ১০ দিনে পড়ল । পাঁচই অক্টোবর থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন। প্রথমে ছ'জন পরে আরো একজন , উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে আরও দু'জন জুনিয়র ডাক্তার আমরণ অনশনে বসেছেন। বলছি বটে জুনিয়র, কিন্তু যে পর্যায়ের পরিণত মনোভাব এঁরা দেখিয়েছেন এবং দেখাচ্ছেন চিকিৎসা পরিভাষায় যাই হোক, মানবতার পরিভাষায় এরা সিনিয়রস্য সিনিয়র।  অনশন। কেবল জল। আর কিছু নয় । বলাই সহজ, কাজে মোটেই সহজ নয়। একবার রাগ করে না খেয়ে একবেলা ছিলাম। আর মনে পড়ে আর একবার মায়ের সাথে উপোস করেছিলাম কোজাগরি পূর্ণিমায়। দুবারই সন্ধ্যে হতে না হতেই হাটুতে হাঁটুতে ঠোকাঠুকি লেগেছিল। আর টানা 10 দিন অভুক্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা! এখনো চলছে তাঁদের অনশন ব্রত।  শারীরিক সমস্যা জয় করতে হচ্ছে। জনমানসের আশা প্রত্যাশার পাহাড় জয় করতে হচ্ছে। মানসিক চাপ জয় করতে হচ্ছে। রাষ্ট্রের চাপ। সহজ কথা তো নয়। তাও জয় করতে হচ্ছে। অকথা কুকথাকে খড়কুটোর মত ছুঁড়ে ফেলে পাখির চোখে চোখ রাখতে হচ্ছে। কেন করছেন তারা অনশন? রাজ্যে গত নয়-ই অগস্ট নারকীয় ঘটনা ঘটে গেছে আর জি কর মেডিকেল কলেজে। তাদেরই সহকর্মী দিদি অথবা বোনের নৃশংস পরিণতি তাঁদের মুঠো শক্ত কর...