Skip to main content

‘ঝমঝম’- একটি সুন্দর সুখপাঠ্য বই

ঝমঝম’- একটি সুন্দর সুখপাঠ্য বই
মিতা চক্রবর্ত্তী



মিতা চক্রবর্ত্তী, পাশে ছাত্র স্যমন্তক
মঝমএকটি সুন্দর সুখপাঠ্য বই ছোট ছোট অধ্যায়গুলি আদতে প্রায় স্বয়ং সম্পূর্ণ গল্প  এই ছোট ছোট গল্পকে সুতোয় বেঁধে যে মূল কাহিনি বিন্যাস তা আগাগোড়া মনকে আকর্ষণ করে বইটির মুখবন্ধে (‘গপ্প শুরুর আগে’) লেখক বলেছেন যে তারমাথার ভিতরে যে কাহিনি জাল বুনেছিল তাকে তিনি খাতায় কলমেএবং অক্ষরে রূপ দিয়েছেন বইটি পড়া শেষ করে উপলব্ধি করা যায় লেখকের কাহিনির জাল যথেষ্ট শক্তিশালী

                              কল্পবিজ্ঞানের সাথে নেট প্রযুক্তির তথ্য ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার অপূর্ব সুন্দর মিশেল ও সহজ সরল ভাষায় তার বিবরণ পাঠকের কল্পনাকে উজ্জীবিত করে এর সাথে গ্রাম ও গ্রামের মানুষজন, তাদের সুখ দুঃখ যেন আমাদের চারপাশে রোজকার দেখা রোজনামচা

কাহিনির যে মূল চরিত্রবাবিন’, তার হাত ধরে নানা চমকদার, অনুভূতিশীল সব ঘটনার মধ্য দিয়ে পাঠক একটি শাশ্বত সত্যে উপনীত হয় এই সত্যটি হল ভালবাসা মনুষ্যত্ব

ঝমঝমবইটি শুধুমাত্র ছোটদের নয়, সমানভাবে বড়দেরও অবশ্যপাঠ্য বই বইয়ের প্রচ্ছদচিত্রটি সাদাসিধে কিন্তু খুব মনকাড়া সহজ সাবলীল সুন্দর ভাষায় লেখা এই মজাদার বইটি পাঠককে উপহার দেবার জন্য লেখককে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ

                                                                                   

                                                                   …… মিতা চক্রবর্ত্তী
                                                                            শিক্ষিকা
                                                                            দ্য আরিয়ান স্কুল
                                                          

উপন্যাসঃ ঝমঝম
প্রকাশক ঃ পত্রভারতী
মূল্যঃ ১৫০ টাকা

প্রাপ্তিস্থানঃ পত্রভারতী আউটলেট ৩/১, কলেজ রো, কোলকাতাঃ ৭০০ ০০৯, 
                টি.এন.বুক স্টল, দমদম ১ নং প্ল্যাটফর্ম, সাবওয়ের পাশে

                ধ্যানবিন্দু, কলেজ স্কোয়ার

Comments

Popular posts from this blog

গৃহপ্রবেশ- ভালোবাসার ঘর দুয়ার

 শাশ্বত কর  গরম কোন পর্যায়ে সে তো আর বলা না বলার ধার ধরে না। ঘামে ঘামে বাসে ট্রামে সবাই টের পাচ্ছে। একটা কাজে বেরিয়েছিলাম। হঠাৎ করে ঘণ্টা চারেকের অবসর পেয়ে গেলাম। অবসর বটে কিন্তু চাআআর ঘণ্টা এই তুমুল রোদে করি কী? সময় বদলেছে। এমন প্রখর দাবদাহে পথিক কি খুঁজতেন? খানিক গাছের ছায়া, তৃষ্ণার জল- এই তো!  আমার কাঁধের ব্যাগে জল, নাকের ডগায় মাস্ক, মাথায় কপালে রোদ্দুরের তেজে গলন্ত স্বেদ। মাথা চিড়বিড় করছে, পেতে ছুঁচো না হোক কেউ তো ডন দিচ্ছে। এই তুমুল আলোয় সত্যি সত্যি চোখে ঝিলমিল লেগে যাচেছ। সামনে অজস্র খাবারের দোকান, চায়ের দোকান। সেসব ছেড়ে পার্কের বেঞ্চিতে বসে খোলা মাঠ দেখে সময় কাটাব ভাবছিলাম। চোখে মুখে রোদেল হাওয়ার কঠিন চুম্বনএর ঠেলায় সইলো না! বেরিয়ে এলাম। দক্ষিণ কলকাতার ফুটপাথ। গাছের ছায়ার অভাব নেই, অভাব নেই রোদের দীর্ঘশ্বাসেরও! খানিক উদভ্রান্ত পায়চারির মধ্যেই মরূদ্যানের মত একটা সিনেমা হল। আর পায় কে? টিকেট উইন্ডোতে টিকিটের দাম দেখে খানিক আশ্বস্ত হলাম। এখনো ১১২ টাকায় সিনেমা দেখা যেতে পারে !এই দুপুর রোদে ১১২ টাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসার আরাম। এই ভয়ঙ্কর আশ্র...

'তুমি তার সেবা কর সুখে'

‘তুমি তার সেবা করো সুখে’ শাশ্বত কর

অসুস্থ সমাজ, অরাজনৈতিক আন্দোলন এবং নিছক সাধারণী আবেদন

  ডাক্তারদের অনশন আজ ১০ দিনে পড়ল । পাঁচই অক্টোবর থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন। প্রথমে ছ'জন পরে আরো একজন , উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে আরও দু'জন জুনিয়র ডাক্তার আমরণ অনশনে বসেছেন। বলছি বটে জুনিয়র, কিন্তু যে পর্যায়ের পরিণত মনোভাব এঁরা দেখিয়েছেন এবং দেখাচ্ছেন চিকিৎসা পরিভাষায় যাই হোক, মানবতার পরিভাষায় এরা সিনিয়রস্য সিনিয়র।  অনশন। কেবল জল। আর কিছু নয় । বলাই সহজ, কাজে মোটেই সহজ নয়। একবার রাগ করে না খেয়ে একবেলা ছিলাম। আর মনে পড়ে আর একবার মায়ের সাথে উপোস করেছিলাম কোজাগরি পূর্ণিমায়। দুবারই সন্ধ্যে হতে না হতেই হাটুতে হাঁটুতে ঠোকাঠুকি লেগেছিল। আর টানা 10 দিন অভুক্ত ঘরের ছেলেমেয়েরা! এখনো চলছে তাঁদের অনশন ব্রত।  শারীরিক সমস্যা জয় করতে হচ্ছে। জনমানসের আশা প্রত্যাশার পাহাড় জয় করতে হচ্ছে। মানসিক চাপ জয় করতে হচ্ছে। রাষ্ট্রের চাপ। সহজ কথা তো নয়। তাও জয় করতে হচ্ছে। অকথা কুকথাকে খড়কুটোর মত ছুঁড়ে ফেলে পাখির চোখে চোখ রাখতে হচ্ছে। কেন করছেন তারা অনশন? রাজ্যে গত নয়-ই অগস্ট নারকীয় ঘটনা ঘটে গেছে আর জি কর মেডিকেল কলেজে। তাদেরই সহকর্মী দিদি অথবা বোনের নৃশংস পরিণতি তাঁদের মুঠো শক্ত কর...